মুখ ভর্তি দাগের জন্য পরিবারেই অপমানিত হন স্বাগতা! কিন্তু ট্রিটমেন্ট করান নি তিনি! নিয়েছিলেন অন্য সিদ্ধান্ত! যে কারণে আজও তাকে দেখে স্যালুট করেন দর্শক!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিলো ‘দুর্গা’। এই ধারাবাহিকের দুর্দান্ত ভিলেন ছিলো দামিনী। এই দামিনী চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনের মধ্যে একটা আতঙ্কের শিহরণ ফেলে দিয়ে ছিলেন সেই সময়কার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বাগতা মুখার্জী। ভিলেন চরিত্রে যিনি মানুষের হৃদয়ের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেন, সেই স্বাগতা মুখার্জীর ব্যক্তিগত জীবন কিন্তু যন্ত্রণা আর কষ্টে ভরপুর। কারণ টেলি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এসে তাকে অনেক রকম অপমানের শিকার হতে হয়েছে।
আসলে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড মানে সেখানে কাজ করতে আসা অভিনেত্রীদের চেহারার মধ্যে একটা আলাদা চাকচিক্য থাকবে, আর যদি তথাকথিত ভাষার এই চাকচিক্য সব অভিনেত্রীদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া না যায়, অভিনেত্রীদের মধ্যে থাকা ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে যদি কোন একজন অভিনেত্রীর ক্রাইটেরিয়া না মেলে, তাহলে তাকে অনেক অপমান সহ্য করতে হয় এই ইন্ডাস্ট্রিতে।
View this post on Instagram
স্বাগতা মুখার্জীর মুখে বড় বড় গর্ত এবং দাগ থাকার জন্য তাকেও অনেক অসম্মানের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে শুধু যে ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন এই নিয়ে তাকে কথা শুনিয়েছে তাই নয় ছোটবেলা থেকে আত্মীয়-স্বজনের মুখেও তাকে এই নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে।
জোশ টকে এসে অভিনেত্রী বলেন যে, তার মায়ের বান্ধবী এই কারণে তাকে অনেক কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন স্বাগতার স্কিন ট্রিটমেন্ট করাতে, এই কথা শুনে স্বাভাবিকভাবে ছোট্ট স্বাগতা মনে কষ্ট পায়। কারণ মায়ের সেই বান্ধবী বলে ছিলো স্বাগতার মুখে এমন দাগ থাকলে কখনোই ওর বিয়ে হবে না, যা শুনে মুষড়ে পড়েন অভিনেত্রী!
সেই সময় তিনি একটি স্কিন ট্রিটমেন্ট করাচ্ছিলেন কিন্তু ভদ্রমহিলার কথা শুনে তিনি সেই ট্রিটমেন্ট করানো বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন : অনুরাগের ছোঁয়ায় আসছে দারুন টুইস্ট! কোমা থেকে রূপাকে জাগাতে শ্যামা ও দীপা একসাথে গান গাইবে!
এরপর তিনি নিজের পরিচয় তৈরি করতে চেষ্টা করেন যে কারণে জোর কদমে শুরু করেন গানের প্র্যাকটিস, থিয়েটার এবং তারপর তিনি একটার পর একটা প্রজেক্টে কাজ পান।
এরপর যখন স্বাগতা একটার পর একটা প্রজেক্টে কাজ করতে শুরু করেন তখন তিনি বুঝতে পারেন যে অভিনয়টাই তার ফিউচার হতে চলেছে।- স্বাগতা যে বুঝেছিলেন সৌন্দর্য দিয়ে নয় নিজের পরিচয় তৈরি করলে মানুষ তাকে একদিন ঠিক কদর দেবে- তার এই দৃষ্টিভঙ্গি দেখে প্রচুর মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।