অপমানিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় নীলাঞ্জনা! অন্যদিকে বউকে খুঁজতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে অনিমেষ! নীলাঞ্জনার কি জায়গা হবে দত্তবাড়িতে! কী করবে সৃজন পর্না?
দত্ত বাড়িতে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন হলে সেখানেও ইচ্ছে করে অশান্তি সৃষ্টি করে অয়ন। কারণ তার পরিকল্পনা মত এক মাতাল ছোট কাকার বউ নীলাঞ্জনাকে অপমান করে। আর তাতে বেশ রেগে যায় অনিমেষ। নীলাঞ্জনাকে অপমান করলে অনিমেষ জানিয়ে দেয় তার স্ত্রীকে কেউ অপমান করতে পারেনা। সেই সঙ্গে অয়ন জানিয়ে দেয় তার বউ নবাবের বাড়িতে ছিল। স্বামী হিসেবে এই খোচাটা মেনে নিতে পারেনি। এরপর অনিমেষকে টাকার খোঁটা দেয়।
সেই সঙ্গে অনিমেষ জানিয়েছে এই দত্ত বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকেই তার ভুল হয়েছে। কিন্তু অয়ন চুপ করে না থেকে উপার্জন নেই বলে টিপ্পুনি কাটে ছোট কাকাকে। বেশ অনিমেষ রেগে গিয়ে মারতে যায় অখিলেশের ছেলেকে। হেমনলিনীর সামনেই তথ্য বাড়িতে দক্ষযজ্ঞ লেগে যায়। তখন নীলাঞ্জনা নিজেকে দোষী বলে মনে করে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ সময় প্রবল অশান্তির মধ্যে রুখে দাঁড়ায় পর্না। সে জানাই ছোট কাকিকে নিয়ে দত্ত বাড়ি ছাড়বে সে।
কিন্তু নীলাঞ্জনা আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছিল। ওটা বাড়িতে তাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে চয়ন জানায় সে বড় রাস্তার দিকে যেতে দেখেছে ছোট কাকিকে। সেই সঙ্গে অনিমেষ তাকে খুঁজতে বেরিয়ে যায়। পর্না বলতে থাকে সে বাইরে গিয়ে ছোট কাকিকে খুঁজবে। তখন বউয়ের মাথা ঠান্ডা করতে এগিয়ে আসে সৃজন। সে বউকে ঠান্ডা করতে চাইলেও রুচিরা ,চয়ন ,বর্ষা পিকলুরা বেরিয়ে যায়।
অন্যদিকে নিজের স্ত্রীকে উদ্ভ্রান্তের মতো খুঁজতে গিয়ে বিপদের মাথায় পড়ে অনিমেষ। একটি গাড়ির সামনে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়ে সে। অন্যদিকে পর না বুঝতে পারছে না ছোট কাকি কোথায় গেল! একইসঙ্গে সৃজন কে জানায় নীলাঞ্জনাকে তারা উদ্ধার করেছে এই তথ্য বাইরে কারোর পক্ষে জানা সম্ভব নয় তাহলে মাতাল লোকটি কিভাবে বিষয়টি জানলো! সঙ্গে সঙ্গে বউয়ের কথাতে রহস্যের গন্ধ পেতে থাকে সৃজন।
এরপর পর্না সৃজনকে বোঝাতে শুরু করে এবং রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। সেই সময় স্ত্রীর পাশে দাঁড়ায় সৃজন। দুজনে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে নীলাঞ্জনা কে খুঁজে পায়। কিন্তু ছোট কাকাকে ফোন করতে গেলে সে ফোন ধরে না। অন্যদিকে জানা যায় অনিমেষ গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত। এখন দেখার সৃজন আর পর্না কিভাবে অয়নের এই কারসাজি সামনে আনে সকলের।
