টলিউডবাংলা সিরিয়াল

আঙুল ফুলে কলা গাছ! ও নিজেকে কি ভাবে?একাই ছোট পর্দা থেকে নায়িকা হয়েছে?সৌমিতৃষার অহংকার সুলভ কথা নিয়ে তুমুল ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। এই মিঠাই ধারাবাহিকের দৌলতেই জনপ্রিয়তা পান সৌমিতৃষা কুন্ডু আর এই ধারাবাহিক শেষেই তিনি দেবের নায়িকা হওয়ার সুযোগ পান। প্রধান ছবিতে দেবের বিপরীতে রুমি চরিত্রটি করেন তিনি। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুমি চরিত্র নিয়ে তিনি বলেছেন, “পুলিশ অফিসারের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। দীপক ও রুমি, নববিবাহিত দম্পতি।

বিয়ের পর কীভাবে স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নেয় রুমি, সেই দিকটা দেখানো হয়েছে, আবার এক শিক্ষিত মেয়ের অধিকারের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।” ঐ সাক্ষাৎকারে এই সিনেমা প্রসঙ্গে আলোচনায় এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন,“ ছোট পর্দায় আপনি যে খ্যাতি দেখেছেন ছবির নায়িকা হয়ে তেমনটা না পেলে?”

এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন,“ছোট পর্দায় আমার মত আর কেউ স্টার হতে পারবে কিনা সন্দেহ”-যা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঢেউ উঠে গেছে, ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন যে, “ছোটপর্দায় আমার মত আর কেউ স্টার হতে পারবে কিনা, সন্দেহ আছে। প্রধানের শুটিং এর সময় একদিন ভারতরক্ষী স্টুডিওয়ে যায়, যেখানে মিঠাই এর সেট পড়েছিল, দারোয়ান জানালেন, আমার সঙ্গে দেখা করতে প্রত্যেক দিন কম করে ৫০ থেকে ৬০ জন অপেক্ষা করতেন, উপহার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে সোনার হার পেয়েছি। আমার জন্মদিনে নদীয়ার বড়মার কাছে পুজো দেওয়া হয়, অসুস্থ হলে কেউ নামাজ পড়েছেন , কেউ মন্দিরের সামনে আমার ছবি নিয়ে গিয়ে পুজো দিয়েছেন, এই খ্যাতি আর কখনো পাবো কিনা জানি না”

আরও পড়ুন : সূর্য নায়ক নাকি খলনায়ক আজ অবধি বুঝতে পারলাম না! অনুরাগের ছোঁয়া দেখে কনফিউজ দর্শক!

অভিনেত্রীর এই বক্তব্যের ভিত্তিতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“ভাই, এই দুই ফিট নায়িকাকে নিয়ে কি বলবো?
কিছু বলতে গেলে নিজেরি লজ্জা লাগে, ছুঁচো মে*রে হাত গন্ধ করতে ইচ্ছে নেই,
তবুও এর অহংকারের জন্য পোস্ট টা করতে বাধ্য হলাম, ও নিজেকে কি ভাবে? ও কি একাই ছোট পর্দা থেকে সোজা দেবের নায়িকা হয়েছে?

আর ওর জনপ্রিয়তা কি আকাশ ছোঁয়া? ও কি মধুমিতা,রুকমার মতো এতো জনপ্রিয়তা পেয়ে ৮-৮০ দুই বাংলার সবার ঘরে পৌঁছাতে পেরেছে?
ওর কি প্রথম ধারাবাহিক ই ব্লকবাস্টার?

ঐ দুই ফিট নায়িকা তো ৫-৬টা কাজের মাসি সাইড ক্যারেক্টার করে তারপর কনে বৌ এ লিড পেয়েছে, সেখানেও তো কাজের মাসির কাজ করতে করতে পরিচালকের পা চেটে চেটে মিঠাই এ এসেছে,
আর মিঠাই এ তো ওকে নেওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না, প্রথম চয়েস ছিল ঐশ্বর্য, কিন্তু ঐশ্বর্য অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারে নি, তাই নায়িকা না পেয়ে ঐ কাজের মাসি সৌমিতৃষা কে নিয়েছিল,
আর শুধু ঐ কাজের মাসি কেন, মিঠাই এর চরিত্রে সৌমিতৃষার জায়গায় বস্তি থেকে কোন মেয়েকে এনে মিঠাই বানালেও মিঠাই ব্লকবাস্টার হতো,(অবশ্য যাকে নিয়েছে সেও বা বস্তির থেকে কম কি ?) কারণ,মিঠাই সিরিয়াল ব্লকবাস্টার হবাব পিছনে মূল কারণ হলো আদ্রিত আর ফ্যামিলি বন্ডিং ।

আর ঐ দু টাকার নায়িকা সেই চরিত্র নিয়ে অহংকার করে
ওই সৌমিতৃষা কি মধুমিতা, রুকমা, সন্দীপ্তা, দিতির পায়ের নখের যোগ্য কি ও হতে পেরেছে? তাতেই এত অহংকার
দেবের সঙ্গে ব্যাবসা সফল সেরা মুভি করে এলো শ্বেতা, এতটুকুও আজ পর্যন্ত অহংকার করতে দেখলাম না,
মুভি করলো ইধিকা, নিজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে পর দেশে গিয়ে পরদেশের নায়কের সঙ্গে ব্লকবাস্টার সুপার হিট মুভি করে এলো, তবুও এতো টুকু অহংকার মনে নেই,
দিতিপ্রিয়া স্বয়ং বোম্বা দার সাথে মুভি করে এলো, তবুও এরকম অহংকার করতে দেখলাম না,
এছাড়াও সন্দীপ্তা, মানালি তো আছেই,

আর ঐ ২ফিট নায়িকার অহংকার দেখে হাসতে হাসতে শেষ,
ছোট পর্দায় ওর মতো জনপ্রিয়তা নাকি কেউ পাবে না
এখনো মুভি রিলিজ হয়নি, তাতেই এরকম

আসলে অপাত্রে দামি কিছু রাখলে এরকম ই হয়। হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ
মূলত এসব হচ্ছে পরিচালকদের চোখের সমস্যা, দু টাকার নায়িকা কে দুইশ টাকার প্লেটে খেতে দিলে তো এরকম অহংকার হবেই
না আছে সৌন্দর্য, না আছে হাইট, না আছে গ্লামার্স, না আছে ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ, আর না আছে পার্সোনালিটি,
তাকে এরকম সুযোগ দিলে তো এরকম পাগলামি করবে,

#soumitrisha”

Related Articles