বাংলা সিরিয়াল

কৌশিকীকে ফাঁসাতে মরণফাঁদ পাতল দিব্যা সেন! উৎসব ছাড়া পেতেই এবার জেলযাত্রা কৌশিকীর?

জী বাংলার অন্যতম ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী। প্রেম, ভালোবাসা, চক্রান্ত, রহস্য সব মিলিয়ে মিশিয়ে একটা দারুন প্যাকেজ বললেও ভুল হবে না। অনুরাগীদের জন্য নিত্য দিন দারুন দারুন চমক নিয়ে হাজির হয় জগদ্ধাত্রী।

পরপর দুই সপ্তাহয় যদিও টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান ধরে রাখতে পারেনি জগদ্ধাত্রী। নেমে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প অনুযায়ী, উৎসব আর মেহেন্দিকে কাজে লাগিয়ে জ্যাস সান্যাল আর স্বয়ম্ভুকে মেরে ফেলতে চাইছে দিব্যা সেন আর দেবু।

অন্যদিকে, রাজনাথ মুখার্জী এদিন জগদ্ধাত্রীকে নিজের হাতে খাইয়ে দিয়ে বাবার ভূমিকা পালন করলেন। এদিন দেখা যায়, কৌশিকীর স্বামী সমরেশ চ্যাটার্জির লেখা পুতুলের মৃত্যু চিত্রনাট্য থেকে চলচ্চিত্র তৈরি হবে। এটি দিব্যা সেন পরিচালনা করলেও সেটা জানে না সমরেশ বা কৌশিকী।

আরও পড়ুন : ‘কোথায় শাড়ি পড়ে নাচ আর কোথায় অর্ধ উলঙ্গ হয়ে নোঙরা পজিশনে নাচ!’গান এক হলেও শ্বেতা সৃজলার নাচে আকাশ পাতাল ফারাক!

পরিচালককে দিব্যা বলে, “প্রথম দিনেই হবে পুতুলের মৃত্যু। অর্থাৎ স্বয়ং কৌশিকী মুখার্জীর মৃত্যু। আপনি ওনার সমস্ত টাকা ট্রান্সফার করে দিন আর স্পষ্ট বলে দিন যে শুটিংয়ের দিন যেন সবাই উপস্থিত থাকে।”

দিব্যা সেনের কথায় পরিচালক সমরেশকে ফোন করে তার প্রশংসা করে। সমরেশ খুশি হয়। তবে এর পেছন যে চক্রান্ত আছে সেটা জানে না সে। বৈদেহি মুখার্জির নিখোঁজ হওয়ার জন্য উৎসব স্বয়ম্ভুকে দোষারোপ করে। উৎসব তাকে চড় অবধি মারতে গেলে তার হাত ধরে ফেলে স্বয়ম্ভু। সে বলে, “আমি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধা।

আমি মারলে কিন্তু তুই সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবি না তাই নিজের হাতটা কম চালা।” চন্দ্রবদন এসে জিজ্ঞাসা করে, যদি তারা কিছু নাই করে, তবে তাদের অ্যাকাউন্টে এত টাকা কিভাবে এলো। সেখানে উপস্থিত হয় জগদ্ধাত্রী। সে বলে, তারা যে নির্দোষ, তার প্রমাণ কৌশিকী মুখার্জী।

অন্যদিকে দিব্যা সেন জগদ্ধাত্রীর বসকে গিয়ে বলে, উৎসব জগদ্ধাত্রী এবং কৌশিকীকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। তাই বৈদেহির থেকে প্রতিশোধ নিচ্ছে কৌশিকী। সে কৌশিকী মুখার্জীর ফোন ট্র্যাক করতে বলে।

আরও পড়ুন : একদিকে দর্শনা দেবী একদিকে কোজাগরী কি ভয়ঙ্কর বৈপরীত্য! জল থৈ থৈ দেখে বলছেন দর্শক!

আর এসব জগদ্ধাত্রীকে জানতে বারণ করে। সাধু তাই করে। দিব্যা আবাদ কৌশিকীকে ফোন করার জন্য একটা গুন্ডা ভাড়া করে। ওই গুন্ডা কৌশিকীকে ফোন করে বলে, তার কথামতো সব কাজ হয়ে গেছে। এসব শুনে অবাক হয় জগদ্ধাত্রীও। এদিকে ডিপার্টমেন্টের সবাই কৌশিকীকে সন্দেহ করে।

Related Articles