বাংলা সিরিয়াল

কোজাগরী নারী স্বাধীনতার অগ্রপথিক! সংসারে সে ভালোবাসা পেয়েছিল কিন্তু সম্মান ও পরিচয় পায়নি!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘জল থৈথৈ ভালোবাসা’। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, তোতার বৌভাতে কোজাগরী এবং কোকো যাওয়া নিয়ে প্রথম থেকে বসু পরিবারের তীব্র আপত্তি ছিলো, কিন্তু সেই আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই কোকো কোজাগরীর সাথে তোতার বৌভাতে চলে যায় যার ফল স্বরূপ বাড়ি আসার পর তুমুল অশান্তি হয়।

টিটো রীতিমতো কোকোকে অপমান করতে থাকে আর টিটোর কথা শুনে কোকো বাড়ি ছাড়ে। অশান্তিতে ইন্ধন দিতে থাকে কোজাগরী শাশুড়ি ‌, দর্শক মনে করছেন যে কোজাগরীর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ার এবার সময় এসেছে এবার কোজাগরী নিজের সিদ্ধান্ত জানাবে।

আরও পড়ুন : কোকো টিটোর কথামতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল! চূড়ান্ত স্বার্থপর আচরণ ঠাম্মির! এবার পালা কোজাগরীর!

এক‌ই সাথে দর্শক এটাও মনে করছেন যে, কোজাগরীকে কেন্দ্র করে ঘটনা সমূহ যেভাবে আবর্তিত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কোজাগরী নারী স্বাধীনতার প্রতিক, কারণ কোজাগরীর চরিত্র প্রত্যেকটি মেয়ের মধ্যে নিজস্ব রোজগারের ধ্যান-ধারণা তৈরি করে দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন কোকোর উচিত এবার ডিভোর্স দিয়ে চলে যাওয়া কারণ টিটোর সাথে থাকার কোন মানেই হয় না। ‌

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“জল অথৈ
১) শেষপর্যন্ত কোকো বসু পরিবার থেকে বিতাড়িত হলো। তোতা বসু পরিবারের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে একটা আত্মসন্মান নিয়ে দৃঢ়তার সাথে পিত্রালয় ছেড়েছিল।
কোকোর ক্ষেত্রে তা হলোনা।

আরও পড়ুন : জীবনের এতোগুলো বছর কার পিছনে নষ্ট করলাম? কোজাগরীর এই বোধ তুলে ধরল মেয়েদের চিরাচরিত আইডেন্টিটি ক্রাইসিস কে! জল থৈ থৈ দেখে বাকরুদ্ধ দর্শক!

২) কোজাগরী নারী স্বাধীনতার অগ্রপথিক। পথপ্রদর্শক।
সংসারে সে ভালোবাসা পেয়েছিল, কিন্তু তার ভাষায় সম্মান ও পরিচয় পায়নি। এজন্য সে উচ্চ মধ্যবিত্তে পরিবারের গৃহবধূ হয়েও রাস্তায় হোটেল খুলেছে। তার স্বামী উদ্দালক এর অপরাধে আসমান তার মেয়ে তোতাকে কিডন্যাপ করার পরও তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় ও মেয়ের সাথে পরিবারের মতের বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে নিজের পরিচয় ও সম্মান খুজে পেয়েছে।”

Related Articles