শিমুলের ভালোবাসা কীভাবে পরাগকে বদলে দিল! কিন্তু বাস্তবে কি সত্যিই মানুষ এভাবে বদলায়?-কার কাছে কই মনের কথা দেখে উঠছে সামাজিক প্রশ্ন
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’তে দেখা গেছে যে, বিয়ের পর থেকেই রীতিমত বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হয় সে। একটা সময় পর্যন্ত সে মুখ বুঝে সমস্তটা সহ্য করতো, কিন্তু একটা সময় পরে সে মুখ খুলে প্রতিবাদ করে এবং আইনের দ্বারস্থ হয়। এরপর নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হয় পরাগ, খারাপ মানুষটি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যায় এবং সে উপলব্ধি করে শিমুলের সাথে কত বড় অন্যায় করেছে।
কিন্তু তখন আর পরাগের কিছু করার থাকে না,এরপর পরাগের এক্সিডেন্ট হলে শিমুল আবার পরাগের কাছে ফিরে আসে এবং দুজনের বিয়ে হয়। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, জেল থেকে ফিরে এসেছে প্রতীক্ষা,সে তার প্রতিশোধ নিতে চায় শিমুলের ওপর।
আরও পড়ুন : একদিকে নীলুর সত্য ফাঁস অন্যদিকে রাইয়ের মায়ের অনুশোচনা শুরু!টানটান উত্তেজনা মিঠিঝোরাতে!
কিন্তু প্রতীক্ষার সব পরিকল্পনা এখন জানতে পেরে গেছে পরাগ। পরাগ সবসময় তাই শিমুলের জন্য চিন্তা করছে। শিমুলের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেই ভয়ে সে আতঙ্কিত হয়ে আর সে চেষ্টা করতে শিমুলকে বিপদ থেকে রক্ষা করার। ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, শিমুল যখন বাড়ি থেকে বাইরে বেরোচ্ছে তখন পরাগ বারবার করে সাবধান করে দেয় তাকে।
সে যেন সাবধানে থাকে আর পথে কোনও বিপদ হলে যেন তাকে জানায়। পরাগের মুখে বারবার এই সাবধান বাণী শুনে একটু অবাক হয়ে যায় শিমুল। মনে মনে ভাবে তবে কি পলাশ আর প্রতীক্ষা নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্র করছে তার পিছনে? তবে পরাগের মনের ভয় কে কাটাতে অনান্য কথা বলে সে।
তবে পরাগ কিন্তু শিমুলের কথায় ভোলে না,সে রীতিমতো শঙ্কায় থাকে, শিমুলের জীবন সংশয় নিয়ে সে ভাবতে থাকে। কারণ প্রতীক্ষা যখন ষড়যন্ত্র করছিলো তখন আড়াল থেকে সবটা শুনে নেয় পরাগ আর ভাবে যে তার জীবন থাকতে শিমুলের গায়ে কোনও আঁচ ফেলতে পারবে না তার ভাইয়ের বউ। পরাগের এই ভাবনা দেখে দর্শক বলেন আহা এই না হলে প্রেম?
আরও পড়ুন : অষ্টমীর প্রথম এপি দেখলাম! ধামাকাদার ওপেনিং!বলছেন দর্শক!
শিমুলের ভালোবাসা কিভাবে পরাগকে বদলে দিল!কিন্তু বাস্তবে কি সত্যিই মানুষ এভাবে বদলায়? এই ধারাবাহিক দেখে সেই প্রশ্ন উঠছে দর্শকের মনে।
