ফুলকির ধানুকে দত্ত বাড়িতে আনা হলে ভাবলাম ফুলকি নিমের মেলবন্ধন হবে! কিন্তু এ তো সেই সিরিয়ালে নায়িকার জয়জয়কার!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘নিম ফুলের মধু’। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে, বর্ষার বাবা ও পর্ণার শ্বশুরকে একটা ভয়ংকর কেসে ফাঁসানো হয়, যে কারণে বর্ষার বিয়ের রাত্রে বর্ষার বাবাকে অ্যারেস্ট করলে বর্ষাকে তার বর বর্ষার বাপের বাড়িতেই রেখে দিয়ে চলে যায়।
অন্যদিকে শ্বশুর মশাইকে ছাড়ানোর জন্য বর্ষা ধানু উকিল কে হায়ার করে।এই ধানু উকিল আসলে ফুলকি ধারাবাহিকের একটি ক্যারেক্টার। এই ধানু আসার পরেই বলে যে সে ফুলকির সহযোগিতাতেই রোহিতের কেসটা জিততে পেরেছিল এরপর পর্না বলে ফুলকি যেমন তাকে সাহায্য করেছিলো, তেমনি এক্ষেত্রে পর্ণাও তাকে সাহায্য করবে।
ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, পর্না তাঁর শ্বশুর মশাইয়ের জন্যে কোনো উকিল না পেয়ে শেষে মাস্টার মশাই, মানে রোহিতের জ্যেঠুর শরণাপন্ন হয় এবং ধানু উকিলকে তাদের হয়ে কেস লড়ার জন্য রাজি করিয়ে সেখানে নিয়ে আসে।এরপর দেখা যায় আদালতে ধানুকে বিপক্ষীয় উকিল জাস্ট ধুয়ে দেয়, আর তার ফল স্বরূপ অমিতেষ বাবুর জামিন খারিজ হয়ে যায়।
কিন্তু দর্শক ক্ষুব্ধ হয়ে যায় এটা দেখে যে ধানু কি বলবে প্রত্যেকটা পয়েন্ট ধানুকে বলে দিচ্ছে পর্ণা? ধানু নয় যেন পর্ণাই উকিল! দর্শক বলছেষ অমিতেষ বাবুকে নির্দোষ প্রমান করে ছাড়িয়ে আনার পুরো ব্যাপারটাতে এক শতাংশ ক্রেডিট নেই উকিলের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“এতো কষ্ট করে, এতো দূর থেকে ধানু উকিলকে ধরে আনার কি কারণ এখনো বুঝলামনা.! সবকিছু তো দেখলাম বরাবরের মতো সেই পর্না একাই করে দিলো.! প্রমান জোগাড় করা অবধি না হয় ঠিকই ছিলো, কিন্তু কোর্টের ভেতরেও তো ধানুকে পর্না একটা কথাও বলতে দিলো না.!
আরও পড়ুন : শঙের মতো দাঁড়িয়ে থেকেও এওয়ার্ড পেলো স্বয়ম্ভু! নায়ক নয় ওকে আমার সাইড ক্যারেক্টার বলে মনে হয়!
ধানুর মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রকে নিয়ে নির্মাতারা শুধুমাত্র ছেলেখেলা করে গেলো.! ভেবেছিলাম নির্মাতারা ফুলকির সাথে নিম ফুলের মধুর মেলবন্ধন করিয়ে একটা ভালোকিছু উপহার দিতে চলেছে বোধয়, কিন্তু হলোনা.! হয়তো একটু বেশিই আশা করে ফেলেছিলাম.! তোমাদের কি মতামত অবশ্যই জানিও..!!”
একজন কমেন্ট করেছেন যে,
,“ফুলকির ধানুকে দত্ত বাড়িতে আনা হলে ভাবলাম ফুলকি নিমের মেলবন্ধন হবে! কিন্তু এ তো সেই সিরিয়ালে নায়িকার জয়জয়কার!”
