বাংলা সিরিয়াল

‘নিলুকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিত!’স্ত্রী হিসেবে নিজের অধিকারের কথা বলতেই নীলু চরিত্র দেখে চটে যাচ্ছেন দর্শক!

নায়িকা মানেই উদারতার প্রতীক। সে পড়ে পড়ে মার খাবে তার চোখের সামনে তার বর অন্য কারো সাথে প্রেম করে বেড়াবে আর সে চোখের জল মুছে অন্যদিকে মুখ ফেরাবে কখনো বা তার সতীনকে ভালোবেসে খাইয়ে দেবে, কখনো আবার তার বরের সাথে তার সতীনের ঝগড়া হলে সে নিজেই আগ বাড়িয়ে ভালো মানুষী দেখিয়ে মিটমাট করে দেবে।

কখনো বাড়ির সবাই তার বরের প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে বার করতে চাইলে সে সবার আগে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে মহানুভবতা দেখিয়ে- নায়িকাদের এইরকম চরিত্র দেখতে আমরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে বর্তমানের সাধারণ স্বাভাবিক বিষয়গুলোকে ঠিক ভাবে নিতে পারি না। হয়তো সেই কারণেই জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা ধারাবাহিকের নায়িকা নিলু যখন প্রতিবাদ করে তখন আমাদের চোখে তাকে অসহ্য লাগে।

আরও পড়ুন : কেমন খেলনাবাড়ির ফিল পেলাম!জীবন সংকট তো তাই!-কথা সিরিয়ালের প্রাণ সংশয়ের প্রোমো দেখে বলছেন দর্শক!

নিলু যখন বিয়ের কয়েকটা দিন যেতে না যেতেই বরের প্রতি নিজের অধিকার খাটাতে থাকে এবং চোখের সামনে নিজের স্বপ্ন নিজের সংসার করার ইচ্ছা ভেঙেচুরে চুরমার হয়ে যেতে দেখে নিজের দিদিকে যা নয় তাই বলে কথা শোনায় এবং কেন সে তাকে জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়েছিল তার জবাবদিহি চায়, পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষের সাথে সে যখন ঝগড়া করে তখন আমাদের সেই চরিত্রটাকে প্রচন্ড অস্বাভাবিক এবং অসহ্য লাগে।

দর্শকদের মধ্যে প্রচুর মানুষ নিলু চরিত্রটাকে মানতে পারছে না সে ঝগড়া করছে বলে, কিন্তু কিছু মানুষ আবার সুস্থভাবে ভেবে দেখছেন সত্যি তো নীলুর তো এটাই করা উচিত! তার ঘর সংসার সব হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে এর বেশি সে আর কি করবে?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“নীলু কে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিৎ।শশুর বাড়ির প্রত্যক টা লোকের সাথে যে আচরণ গুলা করছে ছি।রাই একটা দিদি তার গায়ে হাত অবধি তুলছে।তাও রাই বড় দিদি হয়ে সহ্য করছে।এতো হিংসা এই মেয়ের পেটে।হিংসায় অন্ধ হয়ে গিয়েছে নীলু।কোনো সিরিয়ালে কোনো বাড়ির বউ এমন অসভ্যতা করেনি।ময়ূরী আর নীলুর মধ্যে কী তফাৎ রইলো?

আরও পড়ুন : ময়ূরাক্ষীকে বাড়ি আনতেই কোজাগরীকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা উদ্যলোকের!আদর্শ বর থেকে ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে চরিত্রটা দর্শকের চোখে!

কেউ তো ময়ূরী কে সাপোর্ট করেনা।নীলু চরিএ আগের সিরিয়ালে নায়িকা ছিলো বলে তার অন্যায় গুলাও মানুষ অন্ধের মত সাপোর্ট করে। রাই এর উচিৎ নিলু কে চড় দিয়ে দাত ফেলে দেওয়া।আবার থানা পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। কোনো পজিটিভ চরিএ এগুলা করেছে কোনোদিনও। করেনি।”

Related Articles