সিরিয়ালে পর্ণার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্য তাঁর মৃত্যু কামনা করেন দর্শকরা !
এক একটা সিরিয়ালে দেখানো এক একটা গল্পের সাথে মানুষ নিজের অজান্তেই ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়ে। তখন সেই সিরিয়ালের নায়ক বা নায়িকার সঙ্গে যদি খারাপ কিছু হয় তখন একেবারে তেতেপুড়ে ওঠে দর্শক।
আর দর্শকদের প্রিয় নায়ক বা নায়িকার সঙ্গে যে বা যারা খারাপ ব্যবহার করেন সিরিয়ালে অভিনীত সেই সব চরিত্রদের কটাক্ষ করতে পিছপা হন না তাঁরা।
অনেকসময় কটাক্ষের মাত্রাটা এতটাই বেড়ে যায় যে দর্শক সেইসব অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে নানা গালমন্দ করে থাকেন।
ঠিক এমনটাই ঘটেছে ‘নিম ফুলের মধু’ সিরিয়ালে বাবু তরফে সৃজনের মায়ের চরিত্রে অভিনীত অরিজিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সিরিয়ালটি শুরু হওয়ার পর থেকে এমনিতেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সেই সঙ্গে টিআরপি লিস্টে ও হামেশাই এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকে এই সিরিয়ালটি।
আরও পড়ুন : টিআরপি কমতেই মনের কথায় এলো নতুন মোড়! প্রতীক্ষাকে পজিটিভ করে এবার বিপাশাকে নেগেটিভ করা হবে!
এই সিরিয়ালে বাবুর মা শুরু থেকেই অপছন্দ করে তাঁর বউমাকে। তাই বউমা অর্থাৎ পর্ণা দত্তের জীবনটা অতিষ্ট করে তোলার জন্য মাঝেমধ্যেই চেষ্টা চালান তিনি। আর এটাই বেশ অপছন্দের দর্শকদের। এর জন্য ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে বারবার নানানভাবে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বাবুর মা ওরফে অরিজিতা মুখোপাধ্যায়কে।
এক সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের একটা গ্রুপ আছে ওখানে যাকে নিয়ে যা মিম বানানো হয় সব পোস্ট করা হয়। আর সেই মিমগুলো এলেই আমাদের গুলতানি বসে যায়। একে অন্যকে শেয়ার করি। মজা লাগে। অনেক সময় তো এই পোস্ট দেখেই পেট ভরে যায়।
আরও পড়ুন : ফুলকির সাথে এঁটে উঠতে না পেরে সন্ধ্যার জন্য নতুন নায়ক আসবে সন্ধ্যা তারায়!
যখন চাকরি ছেড়ে এই পেশায় আসি তখন জানতাম ভালো মন্দ দুই শুনতে হবে। অমিতাভ বচ্চনকেও সবাই পছন্দ করেন না। তাই এখন মিম দেখলে মজাই লাগে। একবার তো আমার ছবি মানে কৃষ্ণার ছবি দিয়ে পেত্নী সাজিয়েছিল কে যেন একজন। এগুলো ভালো লাগলেও ব্যক্তিগত আক্রমণটা ভালো নয়।”
এর পাশাপাশি তাঁর যে ব্যক্তিগত আক্রমণে খারাপ লাগে সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিনেত্রী বলেন, “সবাই জানেন কিন্তু আমরা চরিত্রের খাতিরে এটা করছি, পর্দায় যা করছি সেটার সঙ্গে কিন্তু আমার ব্যক্তিগত কোনও যোগ নেই। আর ভালো থাকলে খারাপ থাকবেই। তবে না গল্প এগোবে। তবুও অনেক সময় অনেকেই ব্যক্তি আক্রমণ করে ফেলেন যা খারাপ লাগে। আমার মা এগুলো নিতে পারেন না। একবার তো একজন বলেছিলেন যে আমার যেন কঠিন রোগ হোক আর তাতে আমি মরে যাই। এগুলোই খারাপ লাগে আর কী।”